“স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।”
Published : 16 Dec 2024, 10:18 PM
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার বিকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে যান জোসে রামোস। এসময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান মো. সাহাবুদ্দিন। পরে তারা বৈঠক করেন বলে বঙ্গভবনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
তিন দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন রামোস হোর্তা। এরইমধ্যে দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তিসহ বিভিন্ন সমঝোতা সই হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি আশা করেন, প্রেসিডেন্ট জোসে রামোসের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে।
বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের ‘অনারারি কনস্যুলেট’ চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, “এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।”
সাহাবুদ্দিন বলেন, “স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।”
এসময় তিনি দুই দেশের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র দূরীকরণ, চিকিৎসা, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
“বাংলাদেশে অনেক দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ স্নাতক ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগিয়ে পূর্ব তিমুর তাদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে।”
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তার দেশ গুরুত্ব দেয়।
উভয় দেশ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করেন তিনি।