এ ঘটনায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
Published : 18 Sep 2024, 08:15 PM
ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোলপ্লাজার নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে একদল ব্যক্তির তর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি করার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়ানোর পর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনাটি ছিল ‘ভুল বোঝাবুঝি’।
এ কারণে আইনগত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কুড়িল হয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পথে টোলপ্লাজায় লোকজন ভর্তি একটি পিকআপ দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে পাঞ্জাবি পরা একজন নেমে টোলপ্লাজার বারে ধাক্কা দিচ্ছেন। এরপর নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্ক করছিলেন তিনি।
সে সময় পিকআপ থেকে আরও কয়েকজন নেমে আসেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন টোলপ্লাজার টিকেট কালেক্টরের সঙ্গে তর্ক করছিলেন। আর দুজন নিরাপত্তাকর্মীকে ধাক্কা মেরে পেছনে সরিয়ে দেন। এ সময় ধাক্কা মেরে বারটিও সরিয়ে দেন তারা। এরপর সবাই পিকআপে উঠে চলে যান।
উড়ালপথের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক হাসিব হাসান খান মনে করেন, ঘটনাটি পিকআপের যাত্রী এবং এক্সপ্রেসওয়ের কর্মীদের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে হয়েছে।
তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপত্তা বিধান অনুযায়ী খোলা গাড়ি যাত্রী নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে পারে না।
“এই গাড়িটা একটা পিকআপের মত, তাতে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল। আমাদের টিকেট কালেক্টর ক্যামেরায় দেখেছে যে, সেফটি রেগুলেশন অনুযায়ী ওই গাড়িটা এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে পারে না। তখন সে আমাদের এমআইএসকে কল করে জানতে চায় গাড়িটি যেতে দেওয়া হবে কি না। ওই সময় গাড়ি থেকে কিছু যাত্রী নেমে আসেন, তারা জানতে চাইছে যে, টোল দেওয়ার পরও তাদের কেন যেতে দেওয়া হবে না।”
হাসিব হাসান খান বলেন, ওই গাড়িটির যাত্রীরা টোল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
“ওই সময় গাড়িতে আরও লোক ছিল, তারা নেমে আসে। তারা হয়ত ভাবছিল তাদের গাড়ি যেতে দিচ্ছিল না। তারা বারটা হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে চলে গেছে, তবে টোল দিয়ে গেছে। এটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং। তারা হয়ত আমাদের সেফটি রুল জানে না। এজন্যই হয়ত তারা মনে করেছে, তাদেরকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।”
এ ঘটনায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসিব হাসান খান।
তিনি বলেন, ঘটনার পর তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে থানা থেকে পুলিশ আসে। এছাড়া পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, পুলিশের বিশেষ শাখা থেকেও লোকজন আসে।
“থানা থেকে লোক এসে জানতে চেয়েছে কী হয়েছিল। আমাদের এখানে কোনো ভাঙচুর হয়নি। যেহেতু মামলা করার মত কিছু হয়নি তাই আমরা এদিকে যাচ্ছি না। এখন পুলিশ যদি মনে করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা তারা দেখবেন।”
ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আজই ঘটেছে। কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে একটি গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তারা ফেরার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।”
এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, তিন চাকার যানবাহন, মেয়াদোত্তীর্ণ-ভাঙাচোরা যানবাহন এবং খোলা ট্রাকে মানুষ বহন, অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলতে দেওয়া হয় না।