“গ্রুপ ফটোসেশন আরো সম্মানজনক এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে আয়োজন নিয়ে কাজ করছে মন্ত্ৰণালয়।"
Published : 03 Feb 2025, 05:53 PM
চলতি বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে গ্রুপ ফটোসেশনের প্রচলিত রীতি ‘বাদ দেওয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন, "একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণিজনদের জন্য গ্রুপ ফটোসেশন আরো সম্মানজনক এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে আয়োজন নিয়ে কাজ করছে মন্ত্ৰণালয়।"
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন।
ফারুকী বলেন, "বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণিজনদের গ্রুপ ফটোসেশন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে পুরস্কারপ্রাপ্তদের একটি আনুষ্ঠানিক গ্রুপ ফটোসেশন আয়োজন করা হয়ে থাকে। পূর্বে এ বিষয়ে তেমন কোনো দ্বিমত বা আপত্তি শোনা যায়নি।”
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে ‘অগ্রসর হচ্ছে’ জানিয়ে ফারুকী বলেন, “তাই যে কোনো প্রচলিত রীতি নতুন করে ভাবার সুযোগ রয়েছে। প্রচলিত রীতি নতুন করে ভাবার সুযোগ রয়েছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটোসেশন কীভাবে আরও সম্মানজনক ও গুণীজনদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।"
তিনি বলেছেন, আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে গ্রুপ ফটোসেশনের এই প্রচলিত রীতি বাদ দেওয়া হবে চলতি বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকেই।
অতিথিদের পেছনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দাঁড় করিয়ে বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারের ফটোসেশন পর্ব ঘিরে এবার বিতর্ক শুরু হয় ।
এবার প্রবন্ধ/গদ্যে পুরস্কার পাওয়া সলিমুল্লাহ খানও ছিলেন পেছনে দাঁড়ানো পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাতারে। ওই ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পুরস্কার নেওয়ার পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এসে ক্ষোভ ঝারেন সলিমুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, “গতকাল বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকে ট্রল করছে। আমাকে জিজ্ঞেস করছে, ছাত্রদের সামনে বসিয়ে আপনারা পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন কেন।
“আমি বলেছি, তারা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বসেছে। বাংলা একাডেমি যদি মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করতে না জানে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব নাকি? তাদের আদব-কায়দা যদি না থাকে আমরা কী করব?”
সমালোচনার জবাবে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, “লোকজন বলছে, আপনি পুরস্কার নিলেন কেন? আরে…পুরস্কার নেওয়ার পরেই তো বেইজ্জতটা করছে।”
বাংলা একাডেমি এবং আয়োজকদের সমালোচনা করে লেখক বলেন, “এখানেও দাসত্বের অবসান করতে হবে। দাসত্বের অবসান করতে হলে সবাইকে এক করতে হবে।
পুরস্কার নেওয়ার পরেই তো 'বেইজ্জতটা' করল: সলিমুল্লাহ খান