Published : 06 Mar 2025, 10:13 PM
লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, স্বাধীনতা পুরস্কার নেওয়া তার পক্ষে ‘সম্ভব না’।
তার ভাষ্য, এর আগেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে তাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, তিনি কোনোটিই গ্রহণ করেননি।
চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য বদরুদ্দীন উমরসহ আটজনকে মনোনীত করার খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে, যদিও সরকারের তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
ওই খবরের প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন মার্কসবাদী তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর।
বৃহস্পতিবার জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের পাঠানো এক বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, “১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলির কোনোটি গ্রহণ করিনি।
“এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করা বদরুদ্দীন উমর পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি।
এক সময় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। ২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন গড়ে সভাপতির দায়িত্ব নেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি পুরস্কার গ্রহণ করব না। বিবৃতিতে সেটা বলেছি।"
এবার পুরস্কারের জন্য যাদের মনোনীত করার খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সেই আটজনের মধ্যে বদরুদ্দীন উমর ছাড়া বাকি সাতজনই মরণোত্তর এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন।
তারা হলেন– মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী, পপ সম্রাট আজম খান, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ভাস্কর নভেরা আহমেদ, কবি আল মাহমুদ, পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।