এসব বৈষম্যের দ্রুত অবসান চেয়ে উপদেষ্টা ও সচিবের সহায়তা চান তারা।
Published : 21 Aug 2024, 12:02 AM
সরকার পতনের পর বিভিন্ন সংস্কার ও দাবি পূরণের ডামাডোলের মধ্যে নিজেদের বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন বিসিএস (ডাক) ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করে নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন এসব কর্মকর্তা। তারা সচিবের কাছেও তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।
সিএস (পোস্টাল) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খান হাসান মোহাম্মদ ইকবাল মাসুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিসিএস (ডাক) ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে অন্যান্য বিসিএস ক্যাডারের তুলনায় পদোন্নতি ও অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
“বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (পররাষ্ট্র), বিসিএস (কৃষি), বিসিএস (সওজ), বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব), বিসিএস (গণপূর্ত), বিসিএসসহ (আনসার) অন্যান্য ক্যাডারের ৩৭তম ব্যাচ ২০১৯ সালে নবম গ্রেডে যোগদানের পর ফিডার পদে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে ২০২৪ সালে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছে। অপরদিকে ডাক ক্যাডারের ৩৩তম ব্যাচ ২০১৪ সালে যোগদান করে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেডে (ষষ্ঠ) পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও ১০ বছরের অধিক সময় ধরে নবম গ্রেডেই কর্মরত আছেন।
”একইভাবে, অন্যান্য ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০২১ সালে চতুর্থ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে থাকলেও ডাক ক্যাডারের একই ব্যাচের কর্মকর্তারা বর্তমানে ষষ্ঠ গ্রেডে কর্মরত আছেন।”
এতে দাবি করা হয়, “অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসে নবম গ্রেড থেকে পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি পেতে যেখানে ১০ থেকে ১১ বছর সময় লাগে, বিসিএস ডাক ক্যাডারে সেই পদোন্নতি পেতে ২০ বছরের অধিক সময় লেগে যায়। এই বৈষম্য বিসিএস ডাক ক্যাডারের সব পর্যায়ে বিরাজমান। পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের কারণে বিসিএস (ডাক) ক্যাডারের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।”
এসব বৈষম্যের দ্রুত অবসান চেয়ে উপদেষ্টা ও সচিবের সহায়তা চান তারা।