“নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্যাদি, যেমন পেঁয়াজ, আলু এসবের দাম আরও কমানোর জন্য বিদ্যমান শুল্কহার হ্রাসের বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,” জাতির উদ্দেশে বলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
Published : 11 Sep 2024, 10:37 PM
লুটপাট ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, জরাজীর্ণ ব্যাংকিং খাতে পরিবর্তন, মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য আনা, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা ফেরানো এবং জ্বালানি খাতসহ আরও অনেক খাতে সংস্কারের নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব উদ্যোগ গ্রহণের কথা তুলে ধরেন তিনি।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন। সে দিনেই জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।
বুধবার ছিল জাতির উদ্দেশে দেওয়া তৃতীয় ভাষণ। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি ভাষণ দেওয়া শুরু করেন, যা রাষ্ট্র সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে একযোগে প্রচার করা হয়।
ভাষণে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “লুটপাট ও পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটা ব্যাংকিং কমিশনও গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
“ব্যাংকিং খাতে এই এক মাসে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। আপনারা নিশ্চয় সেটা লক্ষ্য করেছেন। আমরা এই খাতে নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। আরও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে। প্রথম মাসের কাজ হিসেবে শুধু প্রধান কাজগুলি করেছি। তার সঙ্গে রয়েছে আরও অনেক পরবর্তী কাজ।”
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মেটাতে এবং বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে বলে তুলে ধরে তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিশ্ব ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাইকা থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।”
কালো টাকা সাদা করার ‘অনৈতিক’ অনুমতি বাতিল করার উদ্যোগ গ্রহণের কথাও ভাষণে আনেন তিনি। তবে ভূমি ও ফ্ল্যাটে নির্দিষ্ট কর দিয়ে সাদা করার বিধান চলমান থাকলেও সে বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ অগাস্ট থেকে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন ছাড়া বাকি সব স্টেশনে পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে জাতিকে অবহিত করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
মূলস্ফীতির কারণ ‘টাকা ছাপানো’
গত দুই বছর ধরে দেশের মানুষ উচ্চমূল্যস্ফীতি দেখছে। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরোটা সময়ই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ এর বেশি। কখনও তা দুই অঙ্কেও পৌঁছেছে।
এই ধারবাহিকতা কাটেনি চলতি অর্থবছরেও। আন্দোলন, সংঘাত, কারফিউ আর অচলাবস্থার মধ্যে জুলাইয়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতির পারদ অগাস্টে সামান্য নেমে এলেও এখনও দুই অঙ্কের ঘরেই রয়েছে।
পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে অগাস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, জুলাইয়ে যা ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করার জন্য নতুন করে ষাট হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে দেশের মানুষ।
এই ‘অতুলনীয়’ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে জাতির সামনে তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পলিসি সুদের হার বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ সুলভমূল্যে প্রান্তিক মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ চলমান রাখা হয়েছে।
“মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় চলতি অর্থবছরে চাল ও গম আমদানির জন্য ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের জন্য ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং খাদ্য ভর্তুকির তিনটি প্রোগ্রামের জন্য ৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে সভা করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে করণীয়সমূহ চিহ্নিত করা হচ্ছে।”
স্বাভাবিক পণ্য সরবরাহ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, নৈরাজ্য ও পরবর্তীতে বিগত সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ফলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটনায় জুলাই ও অগাস্টের বেশিরভাগ সময়ই পণ্য সরবরাহে অচল অবস্থা দেখা দেয়। এর মাঝে আকস্মিক বন্যায় এর তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার নিমিত্ত ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সভা করা হয়েছে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
“বিদ্যমান মজুদ ও ঘাটতি মূল্যায়ন করে এবং ভবিষ্যৎ চাহিদা পর্যালোচনা করে স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে বিভিন্ন জটিলতা দূরীকরণ, বন্দর ও বড় মোকামসহ পরিবহণ ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তেল, চিনি, ডিম ও মাংস উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সভা ও মতবিনিময় করা হয়েছে।
“নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্যাদি, যেমন পেঁয়াজ, আলু এসবের দাম আরও কমানোর জন্য বিদ্যমান শুল্কহার হ্রাসের বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এনবিআর পেঁয়াজ, আলু ও কতিপয় কীটনাশকের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হ্রাস ও ক্ষেত্রবিশেষে রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে এসআরও জারি করেছে।”
এ ছাড়া নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে হ্রাসকৃত মূল্যে কিছু পণ্য, যেমন পরিবার প্রতি চাল মাসে ৫ কেজি, সয়াবিন তেল মাসে ২ কেজি ও মসুর ডাল মাসে ২ কেজি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত রাখা হবে।”
উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস
পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় যৌক্তিক পরিমাণে হ্রাস করার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য সার আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত চাষিগণ যাতে কৃষিঋণ পেয়ে থাকেন, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি কৃষিঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
“রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রিমের অর্থ পরিশোধ এবং বকেয়া পাওনা নিয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সাথে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আলোচনা চলছে।”
সরকারি আবাসন প্রকল্প সম্পর্কে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন এর খসড়া তৈরির কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প ও ঢাকার আশেপাশে স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের রোডম্যাপ চূড়ান্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিধিবহির্ভূত প্রদত্ত প্লট ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মেগাপ্রকল্পের নামে লুটপাট বন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
“বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে রাশিয়া এবং চীন থেকে প্রাপ্ত ঋণের সুদের হার কমানো এবং ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সকল উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
জ্বালানি খাত
সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় হতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের অধীন চলমান সকল প্রকার নেগোসিয়েশন, প্রকল্প বাছাই এবং ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, “গত দেড় দশকে এই আইন ব্যবহার করে লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোম্পানিসমূহে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার লক্ষ্যে কোম্পানিসমূহের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
“প্রকৌশল, ভূতত্ত্ব ও খনিজ এবং হিসাব বিষয়ে অধ্যয়ন করেছে এমন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ খাতে অধিকতর সক্ষমতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
জ্বালানি তেলের মূল্য জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সহনশীল রাখতে অকটেন ও পেট্রোলের দাম ৬ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১.২৫ টাকা কমানো হয়েছে বলে জাতির উদ্দেশে বলেন তিনি।
তথ্য-উপাত্তের ‘পার্থক্য’ নিরসন
দেশের মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখানো, জিডিপি বা মাথাপিছু আয়ের তথ্য বাড়িয়ে দেখানোর সমালোচনা বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্টরা করে আসছেন। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও বিভাগের তথ্যেই দেখা যায় বিস্তর ফারাক।
সবশেষ রপ্তানি আয়ের তথ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে এটি দৃশ্যমান হলে সকল মহলেই তথ্যের বিশ্বস্ততা নিয়েই তৈরি হয় শঙ্কা।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সকল অর্থনৈতিক সূচক এবং পরিসংখ্যানের প্রকৃত মান বা সংখ্যা প্রকাশের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জিডিপি, মূল্যস্ফীতি ইত্যাদির সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ, প্রাক্কলন এবং প্রকাশের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অর্থ বিভাগের রাজস্ব আয়সম্পর্কিত উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত রপ্তানি আয় নিরূপণ এবং প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স সাড়ে বারো বছরের কম ছিল, তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন বেদখলকৃত স্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমাইজেশনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন “পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে।”