আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ এক যুগে পিছিয়েছে ১১১ বার।
Published : 01 Oct 2024, 08:32 PM
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার অনুমতি পেয়েছেন নয় জন আইনজীবী।
নিজ খরচে এসব আইনজীবী নিয়োগ করে মামলা পরিচালনার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার আবেদন করেন বাদী নওশের আলী রোমান।
শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হক তা মঞ্জুর করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্ধারিত ওকালতনামা জমা দিয়ে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন বাদী। ওকালতনামায় প্রধান আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরের নাম দেওয়া হয়।
অন্য আইনজীবীরা হলেন মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মো. মহিউদ্দিন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মো. ইকবাল হোসেন ও মো. মুত্তাকিন হোসাইন।
আইনজীবী নিয়োগের আবেদনে বলা হয়, “মামলাটি দীর্ঘ ১২ বছর তদন্ত চলামান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। যেহেতু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই, বিধায় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদী পক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আবশ্যক।”
আলোচিত এ মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর ১১১ বারের মত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। নতুন তারিখ রয়েছে ১৫ অক্টোবর।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে ৫ বছর বয়সী মাহির সারোয়ার মেঘ সে সময় বাসায় ছিল।
সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরে বাংলা থানায় মামলা করেন।
শুরুতে মামলাটি তদন্তের তদন্তের দায়িত্ব পায় শেরেবাংলা নগর থানা। তিন দিন পর তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল সেটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উন্মোচন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে; কিন্তু এক যুগেও সে রহস্য উন্মোচন আলোর মুখ দেখেনি।
এর মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলায় বাদীপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান নওশের রোমান। তবে আদালতের অনুমতিতে মঙ্গলবার থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে ছয় মাস বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন-