বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনাসহ কয়েকটি নির্দেশনা চেয়ে গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী রিট আবেদন করেন।
Published : 11 Jun 2024, 06:02 PM
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনাসহ কয়েকটি বিষয়ের তদন্ত করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন; সঙ্গে ছিলেন এ এম জামিউল হক ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল হাদী, কামরুল হাসান রিগান ও মো. জাকির হায়দার।
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনাসহ কয়েকটি নির্দেশনা চেয়ে গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে রিট আবেদন করেন আব্দুল্লাহ আল হাদী।
এর আগে গত ২১ মে আবেদনকারীদের পক্ষে বিবাদীদের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়।
নোটিসে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে।
প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তাদের অতিরিক্ত চার্জ ও গোপন চার্জ দিতে হয়; বিদ্যুতের বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এতে ভোক্তারা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়গুলার পর্যালোচনা ও সংস্কার প্রয়োজন।
সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আদেশ এল।
রিট আবেদনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।