পাঁচ দিন আগে তারা হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন।
Published : 15 Oct 2023, 09:05 PM
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় দণ্ডিত অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যার পর তারা কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
তিনি জানান, বিকালে জামিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার পর তা যাচাই বাছাই করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় পর তারা জামিনে মুক্ত হন।
জেল সুপার জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর তারা কারাগারে আসেন। প্রায় এক মাস কারাগারে ছিলেন।
ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে অভিযানের সময় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে এ মামলায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে ১০ অক্টোবর এ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আদিলুর ও নাসিরের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাই কোর্ট।
সেইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ স্থগিত করে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয় বলে ওই দিন জানিয়েছিলেন তাদের আইনজীবীদের একজন রুহুল আমিন।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর পর তার প্রতিক্রিয়ায় মাঠে নেমেছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত সারাদেশ থেকে সংগঠনের কর্মী ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের ঢাকায় জড়ো করে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল।
দিনভর সরকারের বারবার আহ্বানেও তারা ওই স্থান না ছাড়ায় রাতে সমন্বিতভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সেই অভিযানে ৬১ জন নিহত হন বলে পরে ‘অধিকার’ তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে; যদিও পুলিশের দাবি, রাতের অভিযানে কেউ মারা যাননি, আর দিনভর সংঘাতে নিহতের সংখ্যাটি ১১।
অধিকারের প্রতিবেদনে প্রকাশিত সংখ্যাটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে ওই বছরের ১০ অগাস্ট এই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে থাকা আইনজীবী আদিলুরকে মামলা দায়েরের দিন ১০ অগাস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অধিকারের কার্যালয়েও চলে পুলিশের তল্লাশি। আদিলুর দুই মাস পর জামিনে মুক্তি পান। এলানও আদালতে আত্মসর্পণ করে জামিন নেন।
ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরদিন মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাজার রায় আসার পর থেকে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন।
আরও পড়ুন-