দুদকের মামলায় দণ্ডিত গৃহবধূ হাই কোর্টে খালাস

রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত না থাকলে কোনো সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে দুর্নীতি করা সম্ভব না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2023, 02:00 PM
Updated : 20 Nov 2023, 02:00 PM

দুদকের করা ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ মামলা থেকে ময়মনসিংহের এক গৃহবধূকে খালাস দিয়ে হাই কোর্ট বলেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত না থাকলে কোনো সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে এরকম দুর্নীতি করা ‘সম্ভব ছিল না’।

সাজার রায়ের বিরুদ্ধে মমতাজ বেগম নামের ওই নারীর আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়।

রায়ে মোমতাজ বেগম নামের ওই গৃহবধূকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেয় হাই কোর্ট।

২০১১ সালের ২৪ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাদী হয়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মোমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মমতাজ বেগম সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা সম্পদের তথ্য গোপনসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলায় মোমতাজ বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় সাজার পাশাপাশি তাকে জরিমানাও করা হয়।

পরে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন মোমতাজ। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজিদ।

হাই কোর্টের রায়ের পর এ বি এম বায়েজিদ বলেন, “রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত না থাকলে কোনো সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে দুর্নীতি করা সম্ভব না।”

দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তার নিজ নামে, বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির নামে, এমন কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে বা মালিকানা অর্জন করেছেন, যা অসাধু উপায়ে অর্জিত, এবং তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে কারণ রয়েছে, এছাড়া তিনি সম্পত্তি দখল সম্পর্কে আদালতের কাছে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে অনূর্ধ্ব ১০ বছর এবং অন্যূন তিন বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। এছাড়া অর্থ দণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।