অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই অস্ত্র কেনা হবে।
Published : 24 Nov 2024, 09:04 PM
দীর্ঘদিনের চওয়া পূরণ হচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের; অস্ত্র পেতে যাচ্ছেন অধিদপ্তরের চারটি পদের কর্মকর্তারা।
রোববার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা অনুমোদন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর ফলে সংস্থাটির মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, পরিদর্শক ও উপপরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পেতে যাচ্ছেন ৯ মিমি সেমি অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তল।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক-১ শাখা থেকে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।
পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা অনুমোদন করেছে মন্ত্রণালয়। এখন আমরা অস্ত্র কেনার জন্য একটা কোড খুলব, এরপর বরাদ্দ চাইব।
“সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই অস্ত্র কেনা হবে। সব মিলিয়ে আরও কিছু সময় লাগবে।”
যা আছে নীতিমালায়
নীতিমালা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক থেকে সহকারী পরিচালক পর্যন্ত চারটি পদে কর্মরত ৫৭৯ জনের জন্য অস্ত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উপপরিচালক ৯০ জন, সহকারী পরিচালক ৯৩ জন, পরিদর্শক ১৮৬ জন ও উপপরিদর্শক ২১০ জন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, “মাদকবিরোধী অভিযান, আসামি গ্রেপ্তার, আলামত উদ্ধারে গিয়ে আত্মরক্ষা বা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গুলিবর্ষণের সিদ্ধান্ত নেবেন ও আদেশ দিবেন।
“প্রস্তাবিত ক্ষুদ্রাস্থটি মোটামুটি আধুনিক, মূল্য তুলনামূলক কম এবং পুলিশ, আনসার, বিজিবি বা অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।”
নীতিমালা অনুযায়ী, অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য নিকটস্থ থানা বা পুলিশ লাইনস ব্যবহার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রেজিস্ট্রার ব্যবহার করতে হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ সব নিজস্ব অফিস ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত জনবলের দ্বারা অস্ত্রাগার বা আরমারি তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকে তারা অস্ত্র, পোশাক, ঝুঁকিভাতা, ও রেশনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে দাবি করে আসছিলেন।
পোশাক ও অর্ধেক রেশন চালু হয়েছে। অস্ত্রের বিষয়ে কয়েকদফা নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও অন্য বাহিনীগুলোর চাপে আর হয়নি।