দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১১টি এবং উত্তরে থাকছে ৯টি হাট। কিছু হাটে গরু আসা শুরু হয়েছে।
Published : 11 Jun 2024, 11:24 PM
এবার ঈদে ঢাকায় ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন; যেগুলোতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে বিক্রি।
স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১১টি হাট বসবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সংখ্যা ৯টি।
এরইমধ্যে হাটগুলোর জন্য গরু আনা শুরু করেছেন বিক্রেতারা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার থেকে কেনাবেচা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদী হয়ে ট্রলারে করে কোরবানির গরু আনতে দেখা গেছে। পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে একের পর এক গরুবাহী ট্রলার ঢুকছে ঢাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আনা এসব গরু চলে যাবে পোস্তগোলার শ্মশান ঘাট কিংবা অন্য কোনো হাটে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাটগুলো হল- খিলগাঁও রেলগেইট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট পাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারের পাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজের আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালের পাশের খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডের পাশের খালি জায়গা এবং ডেমরার সারুলিয়ায় সিটি করপোরেশনের স্থায়ী হাট।
ঢাকা উত্তর সিটির মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল গাবতলী হাট। পাশাপাশি আগের মত থাকছে অস্থায়ী হাট।
অস্থায়ী হাটগুলো হল- উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।
এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নিতে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে মঙ্গলবার সভা করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলো প্রস্তুত। এবার হাটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও তৎপর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
“বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার আপনাদেরকে আর হাটের বর্জ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনারা শুধু ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন। প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।”
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডিএনসিসির হাটগুলো কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি শুরু হবে।
এবারের হাটগুলোতে অর্থ পরিশোধে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থার পাশাপাশি হাটে আনা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকবে বলে তিনি জানান।