রাসেলস ভাইপার নিয়ে ভুল তথ্য নয়, অ্যান্টিভেনম সব হাসপাতালে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

“রোগী যথাসময়ে আনতে হবে, সেটা তো আর চিকিৎসকরা পারবে না। যদি দ্রুত নিয়ে আসা যায়, তাহলে কিন্তু আমরা রোগীটা বাঁচাতে পারি”, বলেন তিনি।

বিলুপ্ত ঘোষিত সাপ রাসেলস ভাইপার ফিরে এসেছে দেশে। এ নিয়ে ছড়িয়েছে আতঙ্কও। ফাইল ছবি

দেশের সব হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের প্রতিষেধক আছে জানিয়ে সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

অ্যান্টিভেনম নিয়ে কোনো ধরনের ভুল তথ্য না দেওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি।

এক সময় বিলুপ্ত ঘোষিত সাপটির জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এস সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে সেমিনারের বিষয় ছিল ‘রাসেল’স ভাইপার: ভয় বনাম ফ্যাক্ট’।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সাপে কামড়ের ওষুধ দেশের সব হাসপাতালে আছে। তাই কাউকে দংশন করলে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।”

এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সংসদ সদস্যদের অনেক হ্যান্ডস আছে, মেম্বার আছে, চেয়ারম্যান আছে। রোগী হাসপাতালে আনার দায়িত্ব যদি আপনারা নেন এবং দ্রুত চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে আসেন, তাহলে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে।

“রোগী যথাসময়ে আনতে হবে, সেটা তো আর চিকিৎসকরা পারবে না। যদি দ্রুত নিয়ে আসা যায়, তাহলে কিন্তু আমরা রোগীটা বাঁচাতে পারি।”

সাপের কামড়ের ওষুধ নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়াতেও সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন নাই রোগী মারা গেছে দয়া করে এই ভুল তথ্য কেউ দিবেন না। ভুল তথ্য দিলে মানুষ আতঙ্কিত হয়। রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালে আছে।”

বাংলাদেশ মেডিসিন অব সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক মো. টিটু মিঞা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদুল কবীরসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।