শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আক্রান্ত হয় গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ ভবন, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িও।
Published : 05 Aug 2024, 07:59 PM
গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর পথে পথে জনতার উল্লাসের মধ্যে দুটি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশনের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরের পর বারিধারায় বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর ও মহাখালীতে ডিবিসি নিউজের কার্যারয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার পারভেজ রেজা বলেন, “আমাদের বারিধারা হেড অফিসের নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙ্গে ওরা অফিসে ঢুকে যায়। তারা আমাদের ক্যামেরাসহ সব জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে।”
হামলাকারীরা ওই ভবনের ছয় তলা থেকে কম্পিউটার নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের ভবনে হামলা হয় বিকাল পৌনে ৬টার দিকে।
ডিবিসির বার্তা সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, “অফিসের বাইরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আমরা ভালো আছি। কোনো সমস্যা নেই।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল লোক ডিবিসি ভবন লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ লাথি মেরে ভবনের গেইট ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কয়েকজন ভেতরে ঢুকলেও আশপাশের লোকজন তাদেরকে নিবৃত্ত করে।
এসময় হামলাকারীরা ‘সরকারের দালাল’ বলে স্লোগানও দিচ্ছিল।
এছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে হামলার চেষ্টা হয়েছে।
বিকাল ৪টার দিকে একদল যুবক ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে ভবনের ফটক ভাঙচুরের চেষ্টা করে বলে জানিয়েছেন টেলিভিশনটির বার্তা সম্পাদক মোস্তফা আকমল।
রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখানে হামলার চেষ্টা করেছিল। পরে আমি এসে তাদের অনুরোধ করি। বলি যে, গণমানুষের এই গণমাধ্যমে যেন হামলা না করা হয়। এখন আমাদের সম্প্রচার কার্যক্রম চালু আছে।”
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়ার পরপর গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ ভবনেও মানুষ ঢুকে পড়ে। বিজয় সরণি মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যও ভাঙচুর করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িও।