২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের সারিতে নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা হালনাগাদ করে নতুন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
Published : 06 Jul 2015, 10:46 PM
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা, ২০১৫’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিলেও কিছু অনুশাসন দিয়েছিল, সেই অনুশাসন প্রতিফলিত করে তা আবার মন্ত্রিসভায় আনা হয়।
সংশোধিত নীতিমালায় মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
“নীতিমালায় আগে ৩০ বছরের ভিশন থাকলেও এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের সারিতে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালকে একটা ‘মাইলস্টোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ নীতিমালায় কাজগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী, ২০১৮ সালের মধ্যে মধ্যমেয়াদী এবং ২০২১ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
প্রতিটি অংশের মেয়াদ এবং কার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে তাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
“নীতিমালায় ১০টি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, ৫৬টি কৌশলগত বিষয়বস্তু ও ৩০৬টি করণীয় বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।”
নীতিমালার রূপকল্পের বর্ণনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আইসিটির সম্প্রসারণ ও বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি, সামাজিক ন্যায় পরায়ণতা বৃদ্ধি, সরকারি ও বেসরকারিখাতের অংশীদারিত্বে সুলভে জনবেসা প্রদান এবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পরিণত হওয়ার জাতীয় লক্ষ্য অর্জন।”
নীতিমালায় কিছু প্রণোদনার বিষয় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইসিটি খাতে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ প্রদানে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ ও সহজ শর্তে স্বপ্ল সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালায় ডেটা সংযোগের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতিতে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট ও শুল্ক নির্ধারণ করার বিধান রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, “এটি মাথায় রেখেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অর্থবিল আইনের খসড়া তৈরি করবে।”
পুরাতন কম্পিউটার ও আইসিটি যন্ত্রপাতি থেকে মূল্যবান ধাতু সংগ্রহ করে পুনর্ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।