গুলি পিনু খানের ছেলে ছুড়েছিল: প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি

রাজধানীর ইস্কাটনে সড়কে গাড়ি থেকে গত ১৩ এপ্রিল রাতে সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি গুলি ছুড়েছিলেন বলে আদালতে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন এক সাক্ষী, যাতে দুজন প্রাণ হারান।

প্রকাশ বিশ্বাসপ্রকাশ বিশ্বাসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2015, 12:29 PM
Updated : 18 June 2015, 04:49 AM

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হকের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রনিরই বন্ধু কামাল মাহমুদ একথা জানান বলে একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছে।

গত ১৩ এপ্রিল রাতে নিউ ইস্কাটনে একটি গাড়ি থেকে ছোড়া গুলিতে এক অটোরিকশাচালক এবং এক রিকশাচালক মারা যান।

যানজটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে রনি ওই গাড়ি থেকে গুলি চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। সেদিন রনির সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন কামাল।

কামাল এর আগে এই জোড়া খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দেন।

পুলিশকে তিনি যা বলেছেন, সেটাই হাকিমের কাছে জবানবন্দিতে বলেছেন বলে জানান ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান। 

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাকিমের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে কামাল ঘটনার সবিস্তার বর্ণনা করেন।”

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই দিন জ্যামে বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে রনি গুলি ছুড়েছিল বলে কামাল স্বীকার করেছিলেন।

“তিনি (কামাল) বলেন, রনি গুলি কাউকে উদ্দেশ্য করে ছোড়েনি। আর গুলির পর কারও আর্তনাদ কিংবা চিৎকার তিনি শুনতে পাননি। পরে তিনি শুনেছেন যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

কামালকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে নিয়ে এসেছিলেন। জবানবন্দি দিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান।

বখতিয়ার আলম রনি (সংগৃহীত ছবি)

গণমাধ্যমের খবর, মাতাল অবস্থায় থাকা রনি যানজটে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।

ছেলের এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে আছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পিনু খান। ছেলেকে বাঁচাতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার চান। 

কালো রঙের যে প্রাডো গাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল, তা সংসদ সদস্য পিনু খানের বলে গণমাধ্যমের খবর। গাড়িটি ইতোমধ্যে জব্দ করেছে পুলিশ।

এদিকে জব্দ গাড়িটি নিজের জিম্মায় নিতে আদালতে আবেদন করেছেন রনির বড় ভাই তানজীর আহমেদ।

এসআই মাহমুদুর রহমান বলেন, মালিকানা যাচাইয়ের কাগজপত্র পরীক্ষা করে পাঁচ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।