দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পাচারের শিকার হয়ে সাগরে আটকা পড়া সাত হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ‘আপাতত’ আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
Published : 20 May 2015, 01:36 PM
মানবপাচার নিয়ে সাম্প্রতিক সঙ্কটের পথ খুঁজতে বুধবার কুয়ালালামপুরে ত্রিদেশীয় বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান ও ইন্দোনেশিয়ার রিন্টো মার্সুদির এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা আসে।
থাইল্যান্ডের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক প্রতিমাপ্রগর্নও ত্রিদেশীয় এ বৈঠকে অংশ নেন।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে দেশটির স্টার অলাইন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় এক বছরের জন্য এ পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখন যারা সাগরে বিপদগ্রস্ত কেবল তাদেরই আমরা সহায়তা করব। এই সুযোগ নিয়ে মানুষের ঢল নামলে তাদের আমারা কোনোভাবেই সুযোগ দিতে পারব না।”
গত দুই সপ্তাহে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ পাচারকারীদের নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মাটিতে নামতে পারলেও এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মানুষ আন্দামান সাগর ও থাই উপকূলে আটকা পড়ে আছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা।
আনিফা আমান বলেন, আপাতত অস্থায়ী শরণার্থী শিবির বানিয়ে তাতে আটক ও উদ্ধারপ্রাপ্তদের থাকতে দেওয়া হবে। তবে থাইল্যান্ডে কোনো শরণার্থী শিবির হবে না। সবাইকে স্থানীয় নিয়ম মেনে চলতে হবে।
বুধবার সকালেও ইন্দোনেশিয়া উপকূলে প্রায় পাঁচশ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়, যারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবার ও পানি ছাড়া নৌকায় আটকে ছিলেন।
গত কয়েক দিনে ওই তিন দেশের উপকূলরক্ষীরা মানুষবোঝাই বেশ কিছু নৌকা উপকূলে ভিড়তে না দিয়ে গভীর সাগরে ঠেলে দেয়, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ।
ইউএনএইচসিআর, ওএইচসিএইচআর, আইওএম এবং মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সাগরে বিপদগ্রস্ত এই মানুষদের প্রাণ বাঁচানো এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।