উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথম সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য পদের ভোট হচ্ছে ১৫ জুন।
Published : 12 May 2015, 11:15 PM
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সভায় এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয় বলে ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দেশে উপজেলা পরিষদ চালুর পর প্রথমবারের মতো সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট হবে। তবে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত এসব সদস্যরা উপজেলায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।”
ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংরক্ষিত নারী জনপ্রতিনিধিরাই এ নির্বাচনে ভোটার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, উপজেলায় সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ মে, যাচাই-বাছাই হবে ২৩ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।
বর্তমানে ৪৮৯টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ছাড়া ৪৭৮টি উপজেলার সংরক্ষিত সদস্য আসনের সীমানা নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তির গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ-১৯৯৮) আইনের ৬ ধারায় ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচন করার বিধান আছে।
বাংলাদেশের সব উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের পদ রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭টি। এতে ভোটার রয়েছেন ১৪ হাজার ১২ জন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরের একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলেও পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকের মধ্যে রয়েছে- টেবিল, মোরগ, পেঁপে, বালতি, হরিণ, চাঁদ, ঢেঁকি, খরগোস, বক ও গিটার।
এ ভোটে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ৫ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় সংশোধনী আনা হয়।
আট মাস পরে আবার ভোট
আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছরের মেয়াদ থাকে জনপ্রতিনিধিদের।
চতুর্থ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত বছরের শুরুতে ভোট হয় দেশজুড়ে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটের আগে পরিষদ ভেঙ্গে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ হারাবে উপজেলার প্রথমবারের মতো নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিরা।
ইসির যুগ্মসচিব বলেন, “আগামী ইউপি ভোটের পর আবার নির্বাচিতদের নিয়ে উপজেলার নারী সদস্য পদের ভোট করতে হবে।”
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে এবার মাত্র আট মাসের জন্যই প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন নতুন নারী সদস্যরা।