যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার কবর থেকে ‘শহীদ’ লেখা নামফলক সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন পাঠকরা।
Published : 06 May 2015, 01:21 AM
“কাদের মোল্লার কবর থেকে সরেনি ‘শহীদ’ নামফলক” শিরোনামে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ফেইসবুকে ওই প্রতিবেদন শেয়ারের পর সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৮ জন মন্তব্য করেছেন।
কাদের মোল্লাকে ‘কসাই কাদের’ উল্লেখ করে তাকে শহীদ বলাটা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অপমান করার অপপ্রয়াস বলে মন্তব্য করেন এক পাঠক। অনেকেই দ্রুত নামফলকটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেসইবুক পেইজ থেকে কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য তুলে ধরা হল।
মামুন নামের এক পাঠক লিখেছেন, “মতিউর রহমানের কবরে পাকিস্থান লিখে রেখেছিল জাতীর শ্রেষ্ট গাদ্দার আর রাজাকারের কবরে আমাদের দেশে শহীদ লেখা থাকে। এ লজ্জা কার ঠিক আমি জানি না তবে জাতি হিসাবে আমরা পাকিদের মত অতটা খারাপ না। রাজাকারের কবরে শহীদ লিখলে তো আর রাজাকার বদলে যাবে না। তবে একটু লজ্জা লাগে।”
মো. সবুজ লিখেছেন, “রাজাকার যদি শহীদ হয় তাহলে ৩০ লাখ শহীদের মূল্য কী? রাজাকার কে শহীদ বললে আমাদের স্বাধীনতা বৃথা।”
এ এম আবু জাহিদ লিখেছেন, “১৯৭১ সালে কসাই কাদেরকে যদি শহীদ বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অপমান করার আরেকটি অপপ্রয়াস মাত্র।”
‘আমরা একাত্তর প্রজন্ম’ নামে একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, “ধিক্কার এলাকাবাসীর প্রতি, যারা রাজাকারের কবরে শহীদ লিখতে দিয়েছে। অবিলম্বে নামফলক ভেঙ্গে দেয়া হোক।”
মো. শাহ আলম মন্তব্য করেছেন,“রাজাকার আবার শহীদ হয় নাকি,ওর লাশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।”
শেখ মনির নামের এক পাঠক লিখেছেন, “এখন থেকে কুত্তা মারা গেলে শহীদ কুত্তা লিখলে মন্দ হয় না!”
সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর সমাধিতেও শহীদ লেখা হবে কি না সে প্রশ্ন তুলেছেন এক পাঠক।
“পিন্টুর কবরেও কি শহীদ লেখা হবে?,” লিখেছেন নাহিদুল ইসলাম।
কেউ কেউ এ প্রতিবেদন প্রকাশে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতি বিষোদগার করেছেন।
হাবিব রহমান মন্তব্যে লিখেছেন, “বিডি তুমি সতর্ক হও।”
মো. ফরিদ হাসান নামের একজন লিখেছেন, “সরেনি তো তোদের কি?? শালা মিডিয়ার জন্যই এতো খুনাখুনি।”