ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম এবং বিএনপির ভোট বর্জনের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 01 May 2015, 04:27 PM
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরমান বলেছেন, এখন সরকারকে সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়ে জোর দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনে এর সুফল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপ শেষে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নির্বাচনে অনিয়ম এবং ভোটের মাঝখানে বিএনপির বয়কট- দুই ঘটনাতেই আমরা হতাশ।”
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংলাপের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন শেরমান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, তাদের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গও এসেছে।
আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
“যা ঘটেছে তা নিয়ে সরকারের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন ভবিষ্যতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে যা দরকার তা সরকার করবে।
“আমার মনে হয়, এখন সবার যে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ, তা হল সব অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত, যাতে আগামীতে নির্বাচনে পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যায়। গণতন্ত্রের জন্য এটা খুবই জরুরি।”
গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থীরা ভোট চলাকালেই কারচুপির অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দেন।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এরইমধ্যে সব অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
অবশ্য নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
অনিয়মের যেসব অভিযোগ এসেছে তার তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব যথেষ্ট বিস্তৃত ও গভীর। আর কেবল দুই দেশ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্যই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
“আমাদের বিশ্বাস, এ অঞ্চলকে বদলে দেওয়ার ‘ প্রায় অসীম সম্ভাবনা’ বাংলাদেশের সামনে রয়েছে। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে আপনাদের অংশীদার হতে পেরে আমরাও আনন্দিত।”
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবারের অংশীদারিত্ব সংলাপ ছিল খুবই গঠনমূলক।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল এবং ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।