আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসাবে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
Published : 22 Apr 2015, 10:58 AM
বুধবার পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে স্বামীর পক্ষে গণসংযোগ চালানোর সময় সাংবাদিকদের
তিনি বলেন, “আমাদের দাবি ছিল সেনা মোতায়েন ও সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি। উপজেলা নির্বাচনেও সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
“এবারও নির্বাচন কমিশন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনা মোতায়েনের কথা বলেছে-এটা ‘আইওয়াশ’ মাত্র। আমরা এজন্য সেনাবাহিনী চাইনি। সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করতে হবে।”
আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট সামনে রেখে মঙ্গলবার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
পরে তিন সিটিতে তিন ব্যাটালিয়ন সেনা চেয়ে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
চিঠিতে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দিয়ে কমিশন বলেছে, “নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মূলত ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স ও রিজার্ভ ফোর্স’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ডাকলে তারা পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন।”
কয়েকটি মামলা নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসা আফরোজা অভিযোগ করেন, “সিটি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীর পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই সরকার সমর্থকরা খালেদা জিয়ার ওপর হামলা চালাচ্ছে।
“সরকার যে ভয় পেয়েছে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর বার বার হামলাই তা প্রমাণ করে। সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের প্রার্থী জিততে পারবে না, এ কারণেই হামলা করছে।”
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস প্রকাশ্যে ভোট চাইতে আসতে না পারলেও তাতে ভোটে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন তার স্ত্রী।
তিনি বলেন, “তিনি (মির্জা আব্বাস) না থাকলেও ভোটারদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। তারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকেই বেছে নেবে।”
সকাল সোয়া ৯টার দিকে সূত্রাপুর থানার সামনে থেকে শুরু করে ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, রূপলাল দাস লেন এলাকায় প্রচার চালান আফরোজা আব্বাস।