বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি করেছে বিএনপি সমর্থক নাগরিক সমাজ।
Published : 16 Apr 2015, 11:55 PM
বৃহস্পতিবার ‘শত নাগরিক’ কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা চাই, এই জঘন্য বর্বরতা ও অসভ্যতার অবসান। দাবি করছি- অবিলম্বে দুবৃর্ত্তদের আইনের হাতে সোপর্দ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কেন দরকারের সময় নীরব ভূমিকা পালন করল, তারও তদন্ত চাই।”
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে সংঘবদ্ধ একদল যুবক নারীদের যৌন হয়রানি করে।
ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গত দুদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে নারী অধিকার ও ছাত্র সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ওই ঘটনায় দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার যৌন হয়রানির ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে ।
শত নাগরিক কমিটির বিবৃতিতে বর্ষবরণের দিনে যৌন হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা বলা হয়, কিছুদিন আগে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হত্যা করা হয়। এসব জঘন্য ও বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকার শুধু দোষারোপের নোংরা রাজনীতি উপহার দেওয়া ছাড়া কার্য্কর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
“যে দেশে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা নারী, সেই দেশে বারবার নারীরা এরকম পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন দেখে দেশবাসীর আজ লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে।”
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, বিচারপতি আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, মোহাম্মদ আসাফ-উদ-দৌলা, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক সাদেক খান, শফিক রেহমান, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।