আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক তদবির সত্ত্বেও কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দৃঢ়তা আর সাহসী অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের জনগণ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
Published : 12 Apr 2015, 05:35 AM
শনিবার যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর এক প্রতিক্রিয়ায় নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে একথা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র।
জয় লিখেছেন, “আজ আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার আরও একজন দুর্ধর্ষ যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল। ১৯৭১ সালের ২৫শে জুলাই সোহাগপুর গ্রামে ১২০জন মানুষকে গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে মাননীয় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
“সেই ভয়াবহ গণহত্যার পর সোহাগপুরের পরিচয় হয়ে উঠে 'বিধবা পল্লী' নামে। সে গ্রামেরই ৩ জন বিধবা তার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। রায় পুনর্বিবেচনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে মাননীয় আদালত কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধকে নাৎসি বাহিনীর চেয়েও ভয়াবহ বলে রায়ে উল্লেখ করেন।”
জয় লিখেছেন, “আজ ৪৪ বছর পরে সোহাগপুরে বিধবারা ন্যায্য বিচার পেলেন। আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক তদবির সত্ত্বেও কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দৃঢ়তা আর সাহসী অবস্থানের কারণে বিচার পেয়েছে বাংলাদেশের জনগণ।”
চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রশিতে ঝোলানো হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে।
রিভিউ আবেদন খারিজ শেষে দুই দফায় আত্মীয়-স্বজন এবং এক দফায় আইনজীবীদের সাক্ষাতের সুযোগ দিয়ে শনিবার রাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।