বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া আন্দোলনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 27 Mar 2015, 07:09 PM
শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপিনেত্রী চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।”
সাবেক বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আক্কেল থেকে থাকলে ৮১ দিনে আক্কেলের গোড়ায় পানি পড়েছে। উনি যা করতে চেয়েছিলেন তা পারেন নাই।
“এখন মুখ ঘুরিয়ে বসে আছেন। উনি কার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন?”
গতবছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি চলতি বছরের শুরু থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে নতুন আন্দোলন শুরু করেছে। নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন থেকে সারাদেশে চলছে বিএনপি জোটের টানা অবরোধ। আর গত ৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া অবস্থান করছেন তার গুলশানের কার্যালয়ে।
অবরোধ-হরতালের মধ্যে যানবাহনে নাশকতায় এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পেট্রোল বোমার আতঙ্কে শুরুর দিকে সড়কে যানবাহন চলাচল কম থাকলেও এখন রাজপথে বিএনপি জোটের অবরোধের প্রভাব খুব একটা দৃশ্যমান নয়।
এই কর্মসূচির মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং ২৬ মার্চ স্মৃতিসৌধে না যাওয়ায় খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “উনি (খালেদা জিয়া) চরমভাবে ভাষা সৈনিক আর স্বাধীনতা দিবসকে অপমান করেছেন।”
বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে আর কে কে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, সেই তালিকা করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একাত্তরের ২৭ মার্চ কারফিউ ওঠার পর যেদিকে তাকিয়েছি, সেদিকেই মানুষের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। ঠিক একই কায়দায় খালেদা জিয়া মানুষ পুড়িয়ে মারছে। এটা তো গণহত্যার শামিল।”
“যাদের মধ্যে এতোটুকু মনুষ্যত্ব আছে- তারা কীভাবে বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন করে, বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিতে পারে”, প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “যারা বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে লেখেন, কথা বলেন- তারা কি বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখেছেন পোড়া শরীরের কী যন্ত্রণা?”
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “তারা হত্যাকারী আর খুনিদের মানবাধিকার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন- এটা কোন ধরনের রাজনীতি?”
খালেদা জিয়াকে তার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সরকার বের হতে দিচ্ছে না বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগও নাকচ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি।
“শেখ হাসিনাকে হত্যা না করে উনি বের হবেন না। রাখে আল্লাহ মারে কে?”
প্রধানমন্ত্রী তার প্রাণনাশের চেষ্টা হতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি জানি আরও হামলা আসবে।”
বিকালে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।