বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে মনগড়া তথ্য বিভিন্নভাবে দেওয়া হচ্ছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
Published : 08 Feb 2015, 08:45 PM
এতে বিভ্রান্ত না হতে জনগণকে আহ্বান জানিয়ে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী সংবিধান ও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
সরকার পতনের ডাক দিয়ে গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি জোটের অবরোধের মধ্যে নাশকতার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের শঙ্কা আকারে-ইঙ্গিতে প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইদানিং কোনো কোনো মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে অনুমাননির্ভর, মনগড়া তথ্য ও মন্তব্য পরিবেশিত হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
“সশস্ত্র বাহিনী একটি দেশপ্রেমিক সংগঠন, যা সম্পূর্ণরূপে সংবিধান ও দেশের আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনো মন্তব্য বা তথ্য পরিবেশনের আগে ‘যথেষ্ট’ সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধও করেছে আইএসপিআর।
বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা বাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের ইতিহাস রয়েছে। সর্বশেষ ২০০৭ সালের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থানে অস্থিরতার মধ্যে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ হয়েছিল।
তবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন আওয়ামী লীগ তার গত মেয়াদে প্রণয়ন করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি জরুরি অবস্থা জারির মতো নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখলের জন্য ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের’ বিধান যোগ করার কথা তুলে ধরেছিলেন।