রংপুরের মিঠাপুকুরে বাসে দেওয়া আগুনে নিহত চার যাত্রীর মধ্যে তিনজনের পরিচয় মিলেছে।
Published : 14 Jan 2015, 08:18 PM
এদিকে এ ঘটনায় মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১২০ নেতাকর্মীর নামে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
মিঠপুকুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, নিহতদের তিনজন হলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দড়িচর গ্রামের বাদাম বিক্রেতা রহিম বাদশা (৪৫), তার মা রহিমা বেগম (৬৫) ও একই উপজেলার কাশিয়াগাড়ি গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল জব্বারের মেয়ে জেসমিন আক্তার (৩৫)।
নিহত একমাত্র শিশুটির পরিচয় এখনও মেলেনি বলে জানান ওসি রবিউল।
নিহত রহিম বাদশার ছোট ভাই রাশেদ মিয়ার বরাত দিয়ে ওসি জানান, রহিম বাদশা তার মা ও বোনকে নিয়ে ‘খলিল স্পেশাল’ বাসে গাজীপুর যাচ্ছিলেন।
মামলার বাদী মিঠাপুকুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মামলাটি করা হয়। মামলায় ৮০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ৯ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি মামলার বাদী।
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে মিঠাপুকুরের জায়গীরহাটে শাপলা হিমাগারের সামনে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাস খলিল স্পেশালে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘটনাস্থলে নারী ও শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়।
দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে ১০ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তছিরন বেগম (৮০) নামে একজনকে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।