ট্যাংকার দুর্ঘটনার কারণে তেল দূষণের পর কোনো ডলফিনের মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন সুন্দরবনের কর্মকর্তারা।
Published : 14 Dec 2014, 06:12 PM
সুন্দরবনের শেলা নদীতে গত ৯ ডিসেম্বর সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েলবাহী একটি নৌযান অন্য একটি কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার পর তা থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই ইরাবতী ডলফিনের অভয়াশ্রম হওয়ায় এই জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব সঙ্কটের আশঙ্কা করছিলেন পরিবেশবিদরা।
এরপর কয়েকদিন শেলা নদীতে ডলফিনের বিচরণ না দেখার পর উদ্বেগ বাড়ে। এর মধ্যেই রোববার একটি সংবাদপত্রে একটি মৃত ডলফিনের ছবি ছাপা হয়।
তবে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আমীর হোসাইন চৌধুরী রোববার সাংবাদিকদের বলেন, তেল-দুর্ঘটনা যে এলাকায় ঘটেছে, সেখানে কোনো ডলফিন মারা যায়নি।
“আজ সকাল সাড়ে ৮টায় মোবাইল ফোনে মেসেজ আসে, শেলা নদীর আন্ধারমানিক ও তাম্বুল বুনিয়া এলাকায় ইরাবতী ডলফিন মরে ভেসে আছে। এই খবর পাওয়ার পর একটি টিম নিয়ে এই সব এলাকায় তল্লাশি করে আসি। তারা দুই/আড়াই ঘণ্টা সার্চ করেও কোথাও মৃত ডলফিন ভেসে থাকতে দেখেনি।
“ওয়াইল্ড লাইফ সোসাইটির সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি এবং ওরাও আমাদের জানিয়েছে, তাদের কাছেও ইরাবতী ডলফিন মরে পড়ে থাকার খবর নেই।”
কোনো ডলফিন বা অন্য কোনো প্রাণীকে মরে পড়ে থাকতে দেখলে বন বিভাগ এবং ওয়াইল্ড লাইফ কনজার্ভেশন সোসাইটিকে প্রথমে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বন বিভাগের যোগাযোগ নম্বর: ০১৭১২১৯৫৯৪৬ এবং ডব্লিওসিএস এর হট লাইন: ০১৬১২২৮৮০০।
এদিকে সচিবালয়ে রোববার এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার পর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, শেলা নদীতে শনিবার ডলফিন দেখা গেছে এবং সেগুলোর আচরণে কোনো অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েনি।
“আমাদের কাছে তথ্য আছে, গতকালও সেখানে ডলফিন দেখা গেছে। ডলফিন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মিস্টার ব্রায়ন ও বাংলাদেশের একজন লিখিতভাবে জানিয়েছেন তারা ডলফিন দেখেছেন।”
ওই সব ডলফিনের গায়ে কোনো তেল দেখা যায়নি বলে জানান খন্দকার রাকিব।