ট্যাংকার দুর্ঘটনায় তেল নিঃসরণের পর সুন্দরবনে শেলা নদী রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
Published : 10 Dec 2014, 10:06 PM
এছাড়া তেলবাহী ট্যাংকারকে ধাক্কা দেওয়া জাহাজ এমটি টোটালকে বুধবার ভোলায় আটক করে সেটির সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন সনদ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার রাতে নৌ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বুধবার এক জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেলা নদী রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বাগেরহাট জেলার মংলা থানার শেলা নদীর মৃগামারী এলাকায় মঙ্গলবার একটি কার্গোর ধাক্কায় তেলবাহী ট্যাংকার ‘ওটি সাউদার্ন স্টার-৭’ ডুবে যায়।
এ থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ডুবে যাওয়া ট্যাংকার থেকে নির্গত তেল ছড়িয়ে পড়া রোধকল্পে সব ধরনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সার্বিক প্রস্তুতি তদারকির জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলামকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
নৌ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (টাস্কফোর্স) মো. নুর-উর-রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে গঠিত অপর তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে ট্যাংকার ডুবির ঘটনা তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, নৌপ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ফয়েজ আহম্মদ, নৌ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাসির আরিফ মাহমুদ ও সোহরাব হোসেন শেখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।