বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এআইএ) বাংলাদেশ সফরের পর এবার নয়া দিল্লি যাচ্ছে বাংলাদেশের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
Published : 27 Nov 2014, 01:51 PM
এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে ‘জেট এয়ারওয়েজের’ একটি উড়োজাহাজে করে রওনা হবেন তারা।
সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি জিএম আজিজুর রহমান, এনএসআইর পারিচালক কার্নেল আবু হেনা মো. মোস্তফা, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, সিআইডির এসএস আশরাফুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) মেজর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ আহমেদ রয়েছেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে জানানো হয়, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর ভারতে অবস্থান করবেন।
দুই মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এলে তথ্য বিনিময়সহ সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করতে একমত হয় প্রতিবেশী দুই দেশ।
গত ১৯ নভেম্বর ঢাকায় এনআইএ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদেরও সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
ওই সময় দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের ভূখণ্ডে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে একমত হন তারা।
বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে ভারতের গোয়েন্দাদের দাবি, এর মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে তারা।
সফরে বিষয়টি তুলে ধরে ১১ জনের একটি তালিকা দেয় এনআইএ, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আছে বলে তাদের সন্দেহ।
অন্যদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে ১০ জঙ্গিসহ ৫১ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয় এনআইএকে, যারা ভারতে পালিয়ে আছেন বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ধারণা।
ওই তালিকায় থাকা জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছেন জেএমবির বর্তমান আমির সোহেল মাহফুজ, ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পলাতক জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান, আনোয়ারুল ইসলাম, সাখাওয়াত ও আবু সাঈদ শেখ হোসাইন।