অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদের জন্য প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সড়ক বন্ধ রাখায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি, প্রবর্তক মোড়, গোলপাহাড়, চট্টেশ্বরী ও মেহেদীবাগ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েছেন নগরবাসী।
Published : 19 Nov 2014, 07:24 PM
বুধবার দুপুর ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে মোট পাঁচটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
বিলবোর্ড উচ্ছেদ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে নগরীর গোলপাহাড় থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত সড়কে এসময় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
প্রবর্তক মোড় সংলগ্ন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং গোলাপাহাড় মোড় ও মেহেদীবাগ এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা এ সময় চরম দুর্ভোগে পড়েন। সড়ক বন্ধ থাকায় অনেককে আবার হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
বুধবার সকালে প্রবর্তক মোড় থেকে শুরু হওয়া অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন।
অভিযানে নগরীর প্রবর্তক মোড় থেকে চারটি ও মির্জার পুল এলাকা থেকে একটি বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়।
প্রবর্তক মোড় থেকে দুই নম্বর গেইট, ষোলশহর হয়ে মির্জার পুল এলাকায় গিয়ে শেষ হয় এই অভিযান।
অপসারিত বিলবোর্ডের মধ্যে তিনটি নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর এবং একটি নগর যুবলীগের সদস্য সনদ বড়ুয়ার মালিকানাধীন।
গোলপাহাড় সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল থাকায়, এ সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে হাসপাতালমুখী রোগীদের।
আগ্রাবাদ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে অসুস্থ মাকে নিয়ে মেহেদীবাগের বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মো. সেলিম।
চট্টেশ্বরী সড়কের মুখে প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে থাকার পর হেঁটেই অসুস্থ মাসহ হাসপাতালের দিকে রওনা হন তিনি।
মো. সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখানে এসে দেখি তীব্র যানজট। রাস্তা বন্ধ থাকার কথা আগে জানতাম না। দেরির কারনে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টও মিস করেছি।
রাস্তা বন্ধের কোন নোটিশ দেয়া হয়েছিল কি না জানতে চাইলে সিসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে রাস্তা বন্ধের নোটিশ দিয়েছি।"
নাজিয়া শিরিন এমন দাবি করলেও বাস্তবে সংবাদকর্মীরা সিটি করপোরেশন থেকে রাস্তা বন্ধের বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাননি।
গোল পাহাড় থেকে প্রবর্তক পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে গোলপাহাড় সংলগ্ন এলাকায় থাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল, প্রিমিয়ার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন ও সিএসসিআর হাসপাতালসহ বেশকয়েকটি হাসপাতালের রোগীদের দূর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।
অভিযান চলাকালে সৃষ্ট যানজট বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত জিইসির মোড়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন সড়ক এবং মেহেদীবাগ হয়ে চট্টেশ্বরী সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।