এক শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
Published : 15 Nov 2014, 06:02 PM
শনিবার বিকালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামকে হত্যার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার পাণ্ডে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অধ্যাপক শফিউলকে হত্যার প্রতিবাদে রোববার সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করবেন শিক্ষকরা।
এছাড়া রোববার শিক্ষক সমিতির বৈঠকে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে অধ্যাপক শফিউলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিক্ষোভের মধ্যে তিনটি অটোরিকশা ভাংচুর করেছে একদল ছাত্র। সাড়ে ৬টার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে সেখানে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পরে শিক্ষকদের অনুরোধে রাত পৌনে ৮টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকার বাসায় ফিরছিলেন অধ্যাপক শফিউল। পথে বিহাস পল্লীতে তিনি হামলার শিকার হন।
গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই এই শিক্ষকের মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকরা জানান।
হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের নিবন্ধক ডা. মমতাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই শিক্ষকের মাথা, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পরপরই তিনি মারা যান।”
কারা, কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।