পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে নিহত দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশি দাবি করে ভারতীয় গণমাধ্যমে তোলপাড় চললেও দেশটির সরকার এ বিষয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
Published : 08 Oct 2014, 04:12 PM
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের এক পত্রিকার সম্পাদক তাকে ফোন করলে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
“তবে ভারত সরকার এখনও অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। সরকার জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও জঙ্গি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”
গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন নিহত হন, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণের পর গ্রেপ্তার দুই নারীর একজন নিরাপত্তা বাহিনীকে জানিয়েছেন, তারা গত তিন মাসে চার দফা বাহকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বোমা পাঠিয়েছেন। ওই দিনও বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বোমা বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে।
এরপর গত সোমবার কলকাতায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তগুলোতে কঠোর সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের কাছে তথ্য চাওয়া হতে পারে বলেও টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিজিবি ও বিএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করছে। সেখানে দুই দেশের খুঁটিনাটি সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। দুই দেশই জঙ্গি দমনে আন্তরিক।”
ঈদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল ছিল দাবি করে কামাল বলেন, “কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করেছেন।”
ঈদের আগের দিন সুন্দরবনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৩ ‘বনদস্যু’ নিহতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ওই এলাকায় কাশেম বাহিনীর অত্যাচারে জেলে ও গ্রামবাসী অতিষ্ঠ ছিল। সেই দিন গ্রামবাসীও তাদের ধাওয়া করেছে। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন নিহত হয়।”
ওই ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।