ন্যাম ভবনের বাসা ছাড়তে সাত মন্ত্রীকে সংসদীয় কমিটির নোটিস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খবর প্রকাশের পর যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, গত দেড় বছর ধরে তিনি ওই ফ্ল্যাটে থাকেন না।
Published : 19 Aug 2014, 05:32 PM
এ বিষয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রীর একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ফ্লাটটিতে আমি এক বছর অবস্থান করেছি। গত দেড় বছরে আমি, আমার পরিবার বা আমার কোনো লোক ওই ফ্ল্যাট একদিনের জন্যও ব্যবহার করেনি।”
গত ১২ অগাস্ট এমপি হোস্টেলে নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবীরুল হক মুক্তির কক্ষ থেকে মেজর ও প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পরিচয় দানকারী মাহমুদুল হাসানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের ব্যবহৃত জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি ও জাতীয় সংসদের জলছাপযুক্ত ভিজিটিং কার্ডও জব্দ করেন সংসদের নিরাপত্তাকর্মীরা।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের আবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটি সভাপতি হুইপ আ স ম ফিরোজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্যরা নিজেদের অফিস ব্যবহার না করায় এমনটি হয়েছে। মন্ত্রীরা যাতে ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসা ছেড়ে দেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।
“শিগগিরই তাদের চূড়ান্ত নোটিস পাঠানো হবে। এর আগেও মৌখিকভাবে এবং নোটিসের মাধ্যমে তাদের বাসা ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কেউ বাসা ছাড়েননি।”
এর ভিত্তিতে সাত মন্ত্রীর নামও গণমাধ্যমে আসে, যাদের মধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রী কাদেরও আছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত সংসদ নির্বাচনের পর ওই ফ্ল্যাট থেকে আমার সব মালামাল সরিয়ে নিয়েছি। ফ্ল্যাটটি অন্য কারো নামে বরাদ্দ দিতে কোনো বাধা ছিল না, এখনো নেই।
“কর্তৃপক্ষ উক্ত ফ্ল্যাটটি কোনো সংসদ সদস্যকে বরাদ্দ দিলে তিনি যে কোনো দিন সেখানে উঠতে পারতেন এবং আজও উঠতে পারেন।”