সংসদ ভবন এলাকায় ভুয়া মেজর গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে এই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের আবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটি।
Published : 18 Aug 2014, 11:48 PM
সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কমিটির পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের আবাসস্থল ন্যাম ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমপি হোস্টেলে ভুয়া মেজর মাহমুদুল হাসানের ‘প্রতারণা’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
গত ১২ অগাস্ট এমপি হোস্টেলে নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবীরুল হক মুক্তির কক্ষ থেকে মেজর ও প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পরিচয় দানকারী মাহমুদুল হাসানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জাতীয় সংসদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী মেজর মাহমুদুল হাসান, জাতীয় সংসদ স্ট্যান্ডিং কমিটির উপ-সচিব এ এম এম হাসানের নামাঙ্কিত কয়েকটি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়।
মাহমুদুল নিজেকে জাতীয় সংসদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন বলে পুলিশ জানায়।
বৈঠক শেষে আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “আগামীতে ভুয়া এমপি সেজে প্রতারণা করা সম্ভব হবে না। এমপিরা নিজেদের অফিস ব্যবহার না করায় এমনটা হয়েছে। তবে এখন থেকে এমপিরা দর্শনার্থীদের সঙ্গে বাসায় নয়, অফিসে বসেই দেখা-সাক্ষাৎ কিংবা আলোচনা করবেন।”
এজন্য সংসদ সদস্যদের নোটিশ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সংসদ ভবন এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “অপরিচিতদের সংসদ ভবনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো এবং একটি সোসাইটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“মন্ত্রীদের ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসা ছেড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের কাছে চূড়ান্ত নোটিশ পাঠানো হবে। এর আগেও মৌখিকভাবে এবং নোটিশের মাধ্যমে তাদের বাসা ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কেউ বাসা ছাড়েননি।”
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, “কমিটির বৈঠকে সংসদ ভবন এলাকার নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ভুয়া পরিচয়ে যাতে কোনো ব্যক্তি এই এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।”
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ার সংসদ সদস্য ভবন এবং শেরেবাংলা নগর সদস্য ভবনের নিরাপত্তাসহ সংসদ ভবন এলাকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং সাগুফতা ইয়াসমিন, পঞ্চানন বিশ্বাস, শেখ হাফিজুর রহমান ও নূরুল ইসলাম ওমরকে সদস্য করে ৫ সদস্যের একটি সোসাইটি গঠনের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুস শহীদ, নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাগুফতা ইয়াসমিন, পঞ্চানন বিশ্বাস ও ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।