রাজধানীর বেইলি রোডের সামাজিক শিক্ষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্থানান্তরের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি।
Published : 12 Aug 2014, 03:35 PM
ওই স্কুল স্থানান্তর করতে হাই কোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করতে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার আদালতে যায় রাষ্ট্রপক্ষ।
শুনানির পর চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ওই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আদালতে গার্ল গাইডসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাবেক বিচারপতি মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
আদেশের পর মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, “চেম্বার বিচারপতি আদেশ না দিয়ে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।”
মুনসুরুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “চেম্বার জজ হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি। তাই স্কুল সরানোর জন্য দেয়া হাই কোর্টের রায়ই বহাল রয়েছে।”
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ দাবির প্রেক্ষিতে ২০০২ সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা বিভাগ স্কুলটি সরিয়ে নিতে চিঠি দেয়।
পরে স্কুলটিকে পাশের নিধু স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত পাল্টে আগের আদেশটি বাতিল করে দেয়।
এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই হাই কোর্টে আবেদন করে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন। এই প্রেক্ষাপটে আদালত সে সময় রুল জারি করে। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্ট স্কুল সরিয়ে নেয়ার রায় দেয়।
ওই রায়ের ভিত্তিতে ঈদের ছুটির মধ্যে ওই স্কুলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ছুটি শেষে গত ৭ অগাস্ট শিক্ষকরা স্কুলে ফিরে দেখতে পান, তাদের বিদ্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেন তারা।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের মধ্যেই ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশ না দেয়ায় পূর্নাঙ্গ বেঞ্চই এখন এ বিষয়ে সমাধান দেবে।