উত্তোলন পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কয়লা তোলার পক্ষে মন্ত্রীরা বলে এলেও তেল-গ্যাস খনিজ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এই খনিজ সম্পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার আগামী প্রজন্মের ওপর ছেড়ে দেয়া হোক।
Published : 10 Aug 2014, 12:34 AM
ফুলবাড়ী দিবসের আগে শনিবার দিনাজপুর নাট্য সমিতি হলে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে তার একটি প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে একথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, পানিসম্পদ ও জনবসতি ধ্বংস করে এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে কয়লা উত্তোলন করা হবে না। এটা নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে দিলাম।
“অথচ এখন তিনি উল্টো পথে চলছেন। জাতীয় সম্পদের ওপর জাতীয় মালিকানা নিশ্চিত করতে আগামী প্রজন্মের জন্য সম্পদ রেখে দিন।”
ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তোলার পক্ষপাতি তেল-গ্যাস কমিটির নেতারা। তবে এতে পরিবেশ রক্ষা অনেকটা নিশ্চিত করা গেলেও ব্যয়বহুল হবে বলে উন্মুক্ত পদ্ধতির পক্ষপাতি সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কেউ কেউ।
আনু মুহাম্মদ বলেন, “বড়পুকুরিয়া ও ফুলবাড়ীর কয়লা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে উত্তোলনের জন্য সরকারের বিশেষ মহল তৎপরতা চালাচ্ছেন। এটা করা হলে বিশাল গোষ্ঠিার স্বার্থ বিচেনায় না রেখে দেশকে বিশেষ করে দিনাজপুরসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চালের মানুষকে দীর্ঘ মেয়াদি বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়া হবে।”
ফুলবাড়ীর আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা আহরণ রুখে দিতে উত্তরাঞ্চলের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান অর্থনীতির এই শিক্ষক।
তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির দিনাজপুর শাখার আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সদস্য এসএমএ খালেক ও কল্লোল মোস্তফা।