প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ‘কটূক্তি’ করায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Published : 20 Jul 2014, 09:04 PM
রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৪ জুন খানসামা উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন সালাম।
পরে ওই উপজেলার শিক্ষকরা সালামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং দিনাজপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ফিজারের উদ্দেশ্যে কটূক্তি ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন।
“একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মুখে এ ধরনের কটূক্তি গুরুতর অপরাধ বিধায় তাকে ২০ জুলাই থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।”
সালাম বিধি মোতাবেক বরখাস্ত থাকাকালীন খোরাকি ভাতা পাবেন বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে।
মন্ত্রীকে নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা কি ধরনের কটূক্তি করেছিলেন তা জানাতে পারেননি সচিব কাজী আকতার হোসেন; যার স্বাক্ষরেই সালামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ঠিক কি কারণে তাকে (সালাম) বরখাস্ত করা হয়েছে তা মনে পড়ছে না। তার বিরুদ্ধে আরো কোনো অভিযোগ ছিল কি না তা পরে খোঁজ নিয়ে জানানো যাবে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সালামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাউশি কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ
এদিকে ফাইল আটকে রাখায় অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোববার দুপুরে আকস্মিক পরিদর্শনে মাউশি গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারকে মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজে বদলি করেন।
শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ট এক জনের বদলীর ‘তদবিরে’ দেরি হওয়ায় এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে সচিবালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মাউশির দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের হাতেনাতে ধরতে দুপুরে তিনি আকস্মিকভাবে ওই ভবনে যান।
“তথ্য ছিল- এক শিক্ষকের প্রশিক্ষণে যেতে ছুটির ফাইল একজন সহকারী পরিচালক আটকে রেখেছেন, আমি মাউশিতে গিয়ে এর সত্যতা পাই। এবিষয়ে ওই কর্মকর্তা কোনে সদুত্তর দিতে পারেননি।”
মাউশি মহাপরিচালকের স্বাক্ষরের পর সহকারী পরিচালকের ওই বিষয়ে আদেশ জারির কথা উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, “কিন্তু তিনি আদেশ জারি না করে কয়েকদিন ধরে গাজীপুরের ওই শিক্ষককে ঘুরাচ্ছিলেন।”
এজন্য ওই কর্মকর্তাকে ঢাকা থেকে মাদারীপুরের একটি কলেজে বদলি করা হয় বলে জানান মন্ত্রী।