নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাত খুনের ঘটনায় জড়িতদের ‘চিহ্নিত’ করে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সার্বিক তদন্ত কমিটি।
Published : 08 Jul 2014, 01:17 PM
আদালতের আদেশে গঠিত এ কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেন।
পরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা জানতে পেরেছি। কি কারণে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এখন সে বিষয়ে কাজ করছি। জড়িতদের সম্পর্কে অধিকতর তথ্য প্রমাণ সংগ্রহেরও কাজ চলছে।”
তবে কমিটি কাদের সনাক্ত করেছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মিজানুর রহমান খান। তিনি জানান, তদন্ত কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চেয়েছে। সব তথ্য হাতে পেলেই তদন্ত শেষ হবে।
তদন্ত শেষ করার জন্য প্রতিবেদনে আরো চার সপ্তাহ সময়ের আবেদন করা হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের তারিখ রয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা আপাতত চার সপ্তাহ সময় চেয়েছি। আর সময় চাইবো কি-না, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন।
তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠে, যাদের অপহরণের পরপরই হত্যা করা হয়েছিল বলে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা জানান।
অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়। মামলার পর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দিলেও অপহৃতদের লাশ উদ্ধারের পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান নূর হোসেন।
তার সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়। এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে ধরা পড়েন নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগী ।
নূর হোসেন র্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে সাতজনকে হত্যা করিয়েছে বলে নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলামের অভিযোগ।
ওই হত্যাকাণ্ডে র্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর র্যাব-১১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে।