দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক তিন মন্ত্রীসহ গত সরকারের সাত সংসদ সদস্যের ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের ব্যাপারে অনুসন্ধানের প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
Published : 25 Jun 2014, 03:53 PM
দুদকের ওই তালিকায় থাকা সাতজনের মধ্যে দশম জাতীয় সংসদেও ছয়জন সাংসদ রয়েছেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, “দুদকের অনুসন্ধান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারা সম্পদ বিবরণী আমাদের কাছে দাখিল করেছেন।
“এর বাইরে কোনো সম্পদ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার কাজও অনেকদূর এগিয়েছে। শিগগিরই কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি গত মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান খান বিরুদ্ধে ‘অস্বাভাবিক’ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
একই অভিযোগে ঢাকার সাংসদ আসলামুল হক, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামুল হক ও সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য এম এ জব্বারের বিরুদ্ধে ‘অস্বাভাবিক’ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি।
এদের মধ্যে জব্বার জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। রুহুল হক এবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিত্ব পাননি।
আব্দুল মান্নান খান ঢাকা-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরেছেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে। সাবেক পানিসম্পদ সাবেক মাহবুবুর রহমানও কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি।
বাকি ৩ জনই সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের টিকিটে বিজয়ী হয়েছেন।
দুদকের অনুসন্ধান বিষয়ক কমিশনার ও মন্ত্রী-এমপিদের অনুসন্ধান সেলের প্রধান নাসিরউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে গত ২৫ মার্চ জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ উপার্জনের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।
অভিযুক্ত সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, “অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ থাকলে আইনী ব্যবস্থা নিতে তো কোনো বাধা নেই।”
বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক ‘অ্যাকশনে’ আছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, “দুদক ইতোমধ্যে অ্যাকশনে আছে। যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।”
পরিচালনা পর্ষদের যোগসাজশে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে।
দুদকের উপপরিচালক ইকবাল হোসেন এই অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।
দুদক সচিব জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ১২৪ টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। এ ছাড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে ১৯৩ টি মামলার এবং চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে ২২৪ টির।