কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের লাশ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে তার সমর্থকদের অবরোধ ও ভাংচুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
Published : 30 Apr 2014, 06:44 PM
অপহৃত নজরুলের লাশ বুধবার বিকালে পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় মহাসড়কে নেমে আসে। রাতে তারা সড়ক থেকে চলে গেলেও যান চলাচল বন্ধ রাখে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নজরুল ইসলামের জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। তারপর যান চলাচলের জন্য এই সড়ক খুলে দেয়া হবে।
মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলো এখন বিকল্প পথে ডেমরা দিয়ে চলাচল করছে বলে জানান তিনি।
গত রোববার চার সহযোগীসহ অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর নজরুল (৪৪)। একইসঙ্গে নিখোঁজ হন আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তারগাড়িচালক ইব্রাহিম।
তিন দিন পর বুধবার বিকালে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় নজরুলসহ ছয়জনের লাশ পাওয়া যায়, এর মধ্যে আইনজীবীর গাড়িচালকও রয়েছেন।
নজরুল অপহরণের দিনই বিকালে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর করেন তার সমর্থকরা। এরপর থেকে প্রতিদিনই তারা সড়কে বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার বিক্ষোভে যোগ দিয়ে নজরুলের পরিবারের সদস্যরাও দ্রুত অপহৃতদের উদ্ধারের দাবি জানিয়েছিলেন।
বুধবার দুপুরেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ করে নজরুল সমর্থকরা। তারা সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর নজরুলের লাশ পাওয়ার পর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবরোধে নামে কাউন্সিলর সমর্থকরা।
অপহরণের পর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো.ইয়াসিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা তাদের নাম ধরে স্লোগান দেন।
অপহরণের দিন নূর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নজরুলের স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“আমি এই ঘটনায় কোনোভাবে সম্পৃক্ত নই।”