বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মস্তিস্ক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Published : 09 Apr 2014, 07:03 PM
বুধবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ ধরনের কথা যারা বলতে পারেন তাদের মস্তিস্ক পরীক্ষা করা উচিত।”
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করার দুই সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার লন্ডনে এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ওই সভায় তারেক বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।”
তারেকের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “এসব বক্তব্যকে ইগনোর করা ছাড়া আমার আর কোনা অভিব্যক্তি নেই।”
তারেক রহমানের প্যারোল বাতিল হওয়ায় বর্তমানে তিনি পলাতক বলেও জানান মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ অভিহিত করে তারেক দেশ ও দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এজন্য সাংবাদিকরাই তারেক রহমানকে ‘পাগল’ বলবেন বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও তারেকের বক্তব্যকে সমর্থন জানান। সে বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি জানতে চাইলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি আনিসুল হক।
তিনি বলেন, “যেটা আলোর মত সত্য সেটা নিয়ে কোনো লোকের স্টেইটমেন্টকে গুরুত্ব দেয়ার আমি কিছু মনে করি না। দিজ আর ওয়েল সেটেল্ড, এটা নিয়ে কথা বলার কিছু নাই।
“যারা এটাকে পাল্টানোর চেষ্টা করছেন তাদের একটা উদ্দেশ্য আছে। ৪২ বছর পরে আজকে অবান্তর প্রশ্নগুলি তারা তুলেছে।”
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা এসব প্রশ্ন তুলছেন তারা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায় কি না সেই প্রশ্নও তোলেন আনিসুল হক।