কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 23 Feb 2014, 07:17 PM
রোববার বিকালে কক্সবাজারে এক জনসভায় পর্যটন নগরীর বিষয়ে সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীত করার কাজ শুরু করছে।
“চট্টগ্রাম থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণ শেষ করেছি। সেখানে একটি অ্যাকুরিয়াম গড়ে তোলা হবে, যাতে করে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পায়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশি পর্যটকদের জন্য টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে বিপুলসংখ্যক বিদেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন।
কক্সবাজারে আরো একটি আর্ন্তজাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মহেশখালীতে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র চালু প্রক্রিয়াধীন রয়েছ।
বিকাল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজারে নবনির্মিত শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়াম উদ্বোধন শেষে জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আসলে কক্সবাজারের উন্নয়ন হয়। অন্যান্যরা ক্ষমতায় এসে কক্সবাজারের সম্পদ লুট করেছে।
“২০০১-২০০৯ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে কুতুবদিয়ার কৃষকের ২০০ একর জমি দখল করেছে। কক্সবাজারে ২০ হাজার জমি দখল করেছিল।”
কক্সবাজারবাসী যা কিছু পেয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
“কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশের ঝাউগাছ বঙ্গবন্ধুর আমলে হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হল। কক্সবাজারে ফুটবল স্টেডিয়ামও করা হবে।”
২০০১ সালের পর কক্সবাজারে দলের পাঁচ নেতাকে বিএনপি হত্যা করেছে জানিয়ে তাদের স্মরণ করেন তিনি।
রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলার ঘটনার জন্য জামায়াত-বিএনপিকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বীরেন শিকদার, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়, কক্সবাজারের তিন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক ও আব্দুর রহমান বদি।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বেসরকারি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্বোধন করেন।