ময়মনসিংহের ত্রিশালে কনস্টেবলকে হত্যা করে প্রিজনভ্যান থেকে দণ্ডিত তিন জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Published : 23 Feb 2014, 07:14 PM
এদের মধ্যে গাজীপুর পুলিশ লাইনের সুবেদার আবদুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ লাইনের সংরক্ষিত পরিদর্শক (আরআই) সাইয়েদুল করিমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের এই ঘটনার পর বিকালে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. আবদুল বাতেন দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
দণ্ডিত ওই তিন জঙ্গিকে মামলায় হাজিরার জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেয়া হচ্ছিল।
পথে ত্রিশালে দুটি গাড়িতে এসে সংঘবদ্ধ একটি দল পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে একজন টাঙ্গাইলে ধরা পড়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশ লাইনের সুবেদার আবদুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ক্লোজ করা হয়েছে সাইয়দুল করিমকে।
পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি, রাকিবুল হাসান এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান। এর মধ্যে রাকিবুল ধরা পড়েছেন।
তাদের ছিনিয়ে নেয়ার সময় হামলায় নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল আতিকুল ইসলাম (৩০)। আহত হন আরো দুই পুলিশ সদস্য।
বাকি দুই জঙ্গিসহ পুলিশের গাড়িতে হামলাকারীরা যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। তিন জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তর সিআইডির উপ মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করেছে।
ত্রিশালের ঘটনার পর ময়মনসিংহ ও আশেপাশের সব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থা জারি করা হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের সব কারাগারে।