এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে প্রায় ৫০০ উপজেলা পরিষদের মধ্যে কিছু সংখ্যকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।
Published : 18 Jan 2014, 04:38 PM
আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
শনিবার শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
সিইসি বলেন, “ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কতগুলো উপজেলার সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এগুলো করতে আইনি বাধ্যবাধ্যকতা আছে।”
দেশে বর্তমানে ৪৮৭টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক উপজেলা পরিষদের মেয়াদ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে। ওই মাসের মাঝামাঝিতে একাধিক দিনে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।
পরীক্ষার সময় নির্বাচনের বিষয়ে সিইসি বলেন, “আমরা দেখে শুনে সিদ্ধান্ত নেব, যাতে শিক্ষার্থীদের কম সমস্যা হয় এবং আমাদেরও আইন ভাঙতে যেন না হয়।”
ইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব আকরাম আল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিকসহ সংশ্লিষ্ট ইসির কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
কাজী রকিব বলেন, “এসএসসি পরীক্ষার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পরীক্ষাটি দেশব্যাপী হয়। সেই জন্য যতটুকু সম্ভব ছাত্রদের ডিসটার্ব না করে করা যায় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল।”
ওই সভা শেষে তফসিল ঘোষণা হবে কি না জানতে চাইলে কাজী রকিব বলেন, “কাল (রোববার) দেখি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা যখন সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনারা জানতে পারবেন।”
এখন আমরা বসের স্থির করব কবে নির্বাচন করা হবে।”
ধাপে ধাপে করার প্রস্তুতি
চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন একদিনে না করে ধাপে ধাপে করার পরিকল্পনা করছে ইসি।
সিইসি বলেন, “এক সঙ্গে বিরাট সমস্যা হবে। কারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। তাই সেই ভাবে ধাপে ধাপে করতে হবে।”
ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তত ১১৫টি, মার্চে ২২৩টি, এপ্রিলে ৩৫টি, মে মাসে ৮৫টি ও জুন মাসে ১৮টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বাকিগুলোর মেয়াদ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হবে।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে শিক্ষকদের অধিকাংশই নিয়োজিত থাকেন।
সব বিবেচনায় নিয়ে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে ভোটের সময়সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দুই ধাপে ভোট করার পরামর্শ দেয় ইসিকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরীক্ষার কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ দুই ধাপে ভোটের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ৩৫-৪০ দিন বিবেচনায় নিয়ে ভোট করতে হবে চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে।
দেড় যুগ পর তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। এর আগে ১৯৮৫ সালে প্রথম ও ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।