রাস্তায় নামার অনুমতি পেল ৫০০ ক্যাব

রাজধানীর গণপরিবহন সংকট নিরসনে নতুন পাঁচশটি ট্যাক্সি ক্যাব চলাচলের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ।

বুধবার রমনা রেস্তোরাঁয় বিআরটিএর কার্যক্রম তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “সরকার ট্যাক্সি ক্যাব আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। নিয়মকানুনের জটিলতার কারণে অনেক সময়ই কাজ প্রায় থমকে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরেও আমরা আশাবাদী আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই এগুলো রাস্তায় চলাচল শুরু করবে।”

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আড়াইশ এবং সেনা কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াইশটি ট্যাক্সি ক্যাব পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এছাড়া চট্টগ্রামেও সেনা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালনায় নতুন দেড়শটি ট্যাক্সি ক্যাব নামানো হবে বলে জানান তিনি।

এক সময় ঢাকার রাস্তায় ১২ হাজার ট্যাক্সি ক্যাব চলাচল করলেও এর সংখ্যা কমে চার ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ তিন হাজারে ঠেকেছে।

ক্যাব মালিকরা বলছেন, প্রশাসনিক ‘জটিলতায়’ এবং কর্তৃপক্ষের ‘উদাসিনতার’ কারণেই রাজধানীর রাজপথ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ট্যাক্সি ক্যাব সেবা।

এদিকে ট্যাক্সি ক্যাবের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। মূল ভাড়ার দ্বিগুণ টাকা গুণে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের  হিসাবে, ২০০৭ সালে রাজধানীতে প্রায় ১২ হাজার ট্যাক্সি ক্যাব চলাচল করত। এখন যেগুলো সচল রয়েছে, সেগুলোর মেয়াদও ২০১৩ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

মন্ত্রী জানান, ট্যাক্সি ক্যাবের পাশাপাশি ১০০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসেরও অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এগুলো রাস্তায় নামলে যাত্রীদের গণপরিবহন সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিআরটিসি বাসের চালক হিসেবে নারীদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

“মহিলারা সারা বিশ্বেই ভালো চালক হিসেবে পরিচিত। কারণ তাদের মাথা ঠাণ্ডা থাকে। মহিলারা গাড়ী চালালে সড়কে বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে।”

সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ খাতে গত পাঁচ বছরে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান. বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১২ হাজার ট্যাক্সির ৭৫ শতাংশই ‘নেই’