রেল লাইনে নাশকতা, করতোয়া লাইনচ্যুত

বিরোধী দলের হরতালের প্রথম দিন লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর স্টেশনের কাছে যেখানে ফিসপ্লেট তুলে ফেলা হয়েছিল, তার একশ গজ দূরে লাইনচ্যুত হয়েছে করতোয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি।

এ ঘটনায় রোববার রাত আড়াইটা থেকে ঢাকা-দিনাজপুর-লালমনিরহাট রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রাতে ওই স্থানে আবারো ফিসপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছিল কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।

তবে পারুলিয়া-ভোটমারী রেললাইনের মাঝামাঝি কারবালাদীঘির পাড় এলাকায় লাইনের চারটি ফিসপ্লেট তুলে ফেলায় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন হাতীবান্ধা স্টেশনে আটকে আছে।

লালমনিরহাট রেল স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, হরতালকারীরা রোববার সকালে স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে লাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে রেখে যায়। পরে লাইন মেরামত করা হয়ে গেলে ঢাকা-দিনাজপুর- লালমনিরহাট লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এরপর গত রাত আড়াইটার দিকে সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা করতোয়া মহেন্দ্রনগর স্টেশনে ঢোকার ১০০ গজ দূরে লাইনচ্যুত হয়।

লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের ট্রাফিক সুপারিনটেন্ডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ঠিক কি কারণে বগি লাইনচ্যুত হলো, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তবে গতকাল ওই জায়গার কাছেই ফিসপ্লেট তুলে ফেলা হয়েছিল।” 

তিনি জানান, লাইনচ্যুত বগি সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। বেলা ১২টার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লাইন বন্ধ থাকায় লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরগামী কমিউটার ট্রেন ও বগুড়াগামী টোয়েন্টি ডাউন মাঝপথে আটকে আছে। পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা সিক্সটি ফাইভ আপ কমিউটার ট্রেনটিও লালমনিরহাটে আসতে পারছে না।

এদিকে রোববার রাতে হরতালের মধ্যে পারুলিয়া-ভোটমারী রেললাইনের কারবালাদীঘির পাড়ে চারটি ফিসপ্লেট খুলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

হাতীবান্ধা স্টেশনের সহকারী মাস্টার শরৎ চন্দ্র বর্মা জানান, লাইন মেরামতের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই হাতীবান্ধায় আটকে থাকা ৪৫৬ নম্বর মেইল ট্রেন লালমনিরহাট-পার্বতীপুরের দিকে ছেড়ে যাবে।