খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইন করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আর দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে সাজার মেয়াদ বেড়ে হবে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১৪ বছর।
Published : 01 Jul 2013, 07:34 AM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ এর খসড়ায় এই নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, ১৯৬৯ সালের ‘পিওর ফুড অর্ডিনেন্স’ রহিত করে এ আইন প্রণয়ন করা হবে।
সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ আইনের আওতায় ক্ষেত্রবিশেষে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকার কথা বললেও পরে তা সংশাধন করেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সচিবের ব্রিফিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে যে তথ্য পাঠানো হয়েছিল, তাতেই ভুলক্রমে মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এ আইনের আওতায় ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠান’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হবে, যার কাজ হবে খাদ্যপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং নিম্নমাণের পণ্য বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া।
যেসব প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য শিশ্চিত করতে কাজ করে তাদের কাজ সমন্বয় করে একটি কাঠামোয় নিয়ে আসা হবে এই আইনের মাধ্যমে।
এ আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ফৌজদারী আদালতে ২২ ধরনের অপরাধের বিচার করা হবে, যার মধ্যে বিভিন্ন ধারায় দুই বছর থেকে ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দ্বিগুণ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে আইনে। এছাড়া ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে খাদ্য নিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিলে দুই বছর কারাদণ্ড, নিবন্ধন ছাড়া বিপণন করলে দুই বছর, ছোঁয়াচে ব্যাধি আক্রান্ত কাওকে দিয়ে খাদ্য বিক্রি করলে তিন বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে খসড়ায়।
সচিব জানান, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠান’ কর্তৃপক্ষকে দিক নির্দেশনা দিতে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা উপদেস্টা পরিষদ’ গঠন করা হবে, যার প্রধান থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী।
নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের একটি কারিগরি কমিটি ও কারিগরি প্যানেলও থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।