খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের ‘রাজনৈতিক ভাবনা’ নিয়ে ১৭ জন লেখকের একটি নিবন্ধ সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটেনে, যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিএনপির এই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
Published : 27 Jun 2013, 04:36 AM
বইটির প্রকাশক সংস্থা ‘বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম’ বুধবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার্চিল অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রায় দেড় ডজন মামলা নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানসহ লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। এই সময়ের মধ্যে তিনি প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে এলেন দ্বিতীয় বারের মতো। এর আগে মাসখানেক আগে যুক্তরাজ্য বিএনপির একটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
‘দ্যা পলিটিক্যাল থট অব তারেক রহমান: এমপাওয়ারম্যান্ট অব দ্যা গ্রাসরুটস পিপল’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের পুরো সময় তারেক উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি। একবার কেবল বইটি হাতে নিয়ে আলোচকদের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।
প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় ডেভিস বলেন, রাজনৈতিক সরকার যদি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের জেল জুলুম বা নির্যাতন চালায় তাহলে তাদের কোনো ধরনের গ্রহণযোগ্যতা থাকা উচিৎ নয়।
“এই বইয়ের বার্তা আমি মনে করি আশার বার্তা। এতে শহরের সঙ্গে পল্লীর সংযোগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এই বই সবার কেনা উচিৎ।”
ডেভিস ছাড়াও ইয়ং ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডেভিড এডগার ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য জন ক্লেটন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তারা তৃণমূলের মানুষের ক্ষমতায়ন নিয়ে তারেকের ‘ভাবনার’ প্রশংসা করেন।
জন ক্লেটন বলেন, “অনেকেই মনে করেন রাজনীতিবিদরা জনগণের কথার গুরুত্ব দেন না। কিন্তু তারেক রহমান ভিন্ন ধরনের রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের উদ্বেগ আশঙ্কার কথা শুনেছেন।”
অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই বইয়ের ১৭ জন লেখকের মধ্যে দুজন বিদেশি। এরা হলেন- ব্রিটিশ কলাম লেখক ডেভিড নিকলসন ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জেমস স্মিথ।
লেখকদের মধ্যে বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার, বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান মিয়াও রয়েছেন।
প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার বইটি সম্পাদনা করেছেন সাংবাদিক সালেহ শিবলী, হুমায়ুন কবির, মাহদি আমিন ও আশিক ইসলাম।