মো. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রমাণ করেছে একাত্তরে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে কাজ করেছিলো আল বদর বাহিনী- একথা বলেছেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার তুরিন আফরোজ।
Published : 09 May 2013, 11:20 AM
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় জামায়াতে ইসলামীর এই নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
একাত্তরে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি হিসেবে কামারুজ্জামান ওই অঞ্চলে আল বদর বাহিনী সংগঠিত করেন, যে বাহিনীটি সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনে অংশ নেয় বলে প্রমাণ মিলেছে।
তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “এই রায়টা এ জন্য ইমপর্টেন্ট, কারণ এতে আল বদরের নেতৃত্বের (যুদ্ধাপরাধে) অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছিলো, যা রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। আল বদর বাহিনী যে একটি ডেথ স্কোয়াড ছিলো, সেটাও এ রায়ে এসেছে।”
একজন শিক্ষক অপমান করা যে অমানবিক কাজ, তা-ও কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রায়ে উঠে আসায় এটি আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই প্রসিকিউটর।
একাত্তরে শেরপুর কলেজের তৎকালীন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আব্দুল হান্নানকে খালি গায়ে মাথা ন্যাড়া করে, গায়ে ও মুখে চুনকালি মাখিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে উলঙ্গ অবস্থায় চাবুক দিয়ে পেটাতে পেটাতে শেরপুর শহর ঘুরিয়েছিলো কামারুজ্জামান ও তার সহযোগীরা।