যুদ্ধাপরাধে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।
Published : 09 May 2013, 08:50 AM
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ-সভাপতি কেএম শফিউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রায়ের আশায় ছিলাম। এতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এখন অপেক্ষায় থাকবো কবে রায় কার্যকর হবে।”
রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, “আমার এলাকার এ কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। শেরপুরের মেয়ে আমি। এলাকার মানুষের কষ্ট দেখেছি। জঘন্য অপরাধ করেছে কামারুজ্জামান। তার ফাঁসির মাধ্যমে স্বজনহারানোদের কষ্ট অনেকখানি কমবে।”
যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সবার ক্ষেত্রে এই রায় প্রত্যাশা করেন তিনি।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিচার শুরু হয়।
প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কামারুজ্জামান জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ছিলেন। ২২ এপ্রিল তিনি জামালপুরের আশেক-মাহমুদ কলেজের ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা নেতাকর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন।
এই বাহিনী বৃহত্তর ময়মনসিংহে (ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও টাঙ্গাইল) গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ ঘটায় বলে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন।